ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অনার্স শিক্ষকরাও জাতীয়করণের আওতাভুক্ত হবেন

govt.__1কলেজ জাতীয়করণ হলে একই কলেজে বৈধভাবে নিয়োগ পেয়ে অনার্স শাখায় পাঠদানরত শিক্ষকরাও যথানিয়মে আত্মীকৃত হবেন মর্মে মত ও যুক্তি দিয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

শুধু উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষকরা জাতীয়করণের আওতায় পড়বেন এমন কথা চাউর রয়েছে সারাদেশে দীর্ঘদিন যাবত। এতে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন জাতীয়করণের তালিকায় থাকা কয়েকটি কলেজের অনার্স শাখার শিক্ষকরা। উদ্বিগ্ন শিক্ষকরা তাদের প্রিয় পত্রিকা দৈনিকশিক্ষার মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য জানতে চেয়েছেন।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার দৈনিকশিক্ষার পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দু’জন ঊর্ধতন কর্মকর্তার কাছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, সরকারি কলেজবিহীন ৩২৫টি উপজেলা সদরে একটি করে কলেজ জাতীয়করণের যে নীতিমালা তৈরি হচ্ছে তাতে এ বিষয়টি উল্লেখ থাকছে।

অপর এক যুগ্ম-সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দৈনিকশিক্ষাকে জানান, তার ছোট বোন একটি কলেজের অনার্সের শিক্ষক। ওই কলেজটি জাতীয়করণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সানুগ্রহ সম্মতি পেয়েছে গত বছর। উচ্চমাধ্যমিক শাখার শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের হিসেব-নিকেষ, কাগজপত্র, নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে একতাল ও লয়ে কাজ এগোচ্ছে। মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে বলা হয়নি অনার্সের শিক্ষকদের বাদ দেয়া হোক।

অনার্স শিক্ষকদের মনে কেন জাতীয়করণ থেকে বাদ পড়ার আশংকা? দৈনিকশিক্ষার এমন প্রশ্নের জবাবে, শাহজাহান নামের একজন অনার্স শিক্ষক জানান, তারা তো এমপিওভুক্ত নন, বাদ পড়ার আশংকার মূলে এটাই।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আর্কর্ষণ করা হয় মন্ত্রণালয়র একজন কর্মকর্তার। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘বৈধভাবে বিবাহিত কোনো দম্পতি যদি সন্তানলাভে ব্যর্থ হন তাতে তাদের বিবাহ কি অবৈধ হয়ে যায়?

১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজ জাতীয়করণ হওয়ার পর নানা কলেজ ঘুরে বর্তমানে ইংরেজির সহযোগি অধ্যাপক হয়ে শিক্ষা প্রশাসনের একটি বড় পদে রয়েছেন এমন একজন দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, কলেজ যদি জাতীয়করণ হয় তবে, বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত সবাই নিয়মানুযায়ী আত্মীকৃত হবেন। অন্যথায় আদালতের দরজা খোলা।

  • দৈনিকশিক্ষা

পাঠকের মতামত: